সকাল এগারটা কুড়ির দিকে জার্মান সময়ে বিমান রওয়ানা দিয়ে বাহরাইন অভিমুখে। প্রায় ৮ ঘন্টার টানা যাত্রা। বাহরাইনে গিয়ে পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাতটা কুড়িতে। সাধারণত: বিমান যাত্রায় মাঝপথটা বড্ডো বিরক্তিকর মনে হয়। হঠাৎ করে মনে হয়, সময় কাটছে না। আমি চোখ বুঁজে সময় কাটাবার চেস্টা করি। তার মাঝে বিমানবালা এসে দুপুরের খাবার পরিবেশন করল। কোনকিছুই ভাল লাগছে না। মনটা কেমন যেন দোটানায় পড়ে আছে। একদিকে ভাবছি আমার স্ত্রী আর সন্তানরা ঠিক এখন কি করছে? স্কুলের পথে। অন্যদিকে ভাবছি, বাবা কি করছে? হয়তো প্রহর গুণছেন। একমাত্র ছেলেকে কাছে ফিরে পাওয়ার আনন্দ কতো গভীর। সারাদিন শেষে আমার ছেলেমেয়েরা যখন প্রতিদিন দু বাহুতে আশ্রয় নেয়, তখন বাবা হওয়ার আনন্দটা গভীরভাবে বোধ করি। আর আমার বাবা যখন বছর শেষে তার ছেলেকে কয়েক সপ্তাহের জন্য ফিরে পায়, তখন তার আনন্দ ও তৃপ্তি কতোটা গভীর ও বিশাল তা এখান থেকে একটু অনুভব করার চেস্টা করি।
Tuesday, November 16, 2010
Tuesday, November 9, 2010
দেশের মাটিতে ক'দিন: পর্ব ০১
হঠাৎ করেই আমার দেশে আসার সিদ্ধান্ত হলো। বাবা বেশ ক' মাস থেকেই অসুস্থ। তাকে দেখার জন্যই ৩ সপ্তাহের ছুটিতে নিয়ে ঢাকায় ফেরা। যেমন কথা তেমন কাজ। খোঁজ খবর করে পাওয়া গেল গালফ এয়ার-এর টিকেট। স্ত্রী আর সন্তান সন্ততিকে দেশে রেখা একা দেশের বাড়ীতে আসার মধ্যে যতোটা রোমাঞ্চ, ততোটাই কস্ট। বুধবার দিন অফিস করার কথা বেলা ১টা পর্যন্ত। তারপর বাড়ী ফিরে বাক্স-পেটরা নিয়ে বিমান বন্দরের দিকে ছুটতে হবে বিকেল পাঁচটার মধ্যে। শেষ মুহুর্ত্বে অফিসের কাজ শেষ করতে করতে বেরোলাম আড়াইটা। ফোনে স্ত্রীকে বললাম, লাগেজের ভেতরটা আরেকবার গুছিয়ে রাখতে। বাড়ী ফিরলাম সোয়া তিনটা। স্ত্রী'র হাত থেকে লাগেজ ওজন করতে গিয়ে দেখি ওজন ৫০ এর চেয়ে কয়েক পাউন্ড বেশী। মনে মনে প্রমাদ গুণলাম। বললাম, যা হবার হয়েছে। বিমান বন্দরে গিয়েই ওজনের ঝামেলা মেটাব।
Subscribe to:
Posts (Atom)